ভূগোল বিজ্ঞানীদের চাকরির বাজারে নতুন সুযোগ: না জানলে মিস!

webmaster

**

"A professional environmental scientist, fully clothed in appropriate attire, working on a laptop in a modern office setting, analyzing environmental data, safe for work, perfect anatomy, correct proportions, natural pose, professional lighting, high quality. The office background includes charts and graphs related to climate change and pollution control. Modest and family-friendly scene."

**

ভূগোল বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখাটা দারুণ, কিন্তু এখনকার বাজারে চাকরি পাওয়াটা আগের মতো সহজ নেই। জলবায়ু পরিবর্তন, দূষণ, আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে, তাই এই ক্ষেত্রে কাজের ধরনও পাল্টাচ্ছে। আগে যেখানে শুধু তেল আর গ্যাস কোম্পানিতে কাজের সুযোগ ছিল, এখন পরিবেশ রক্ষার বিভিন্ন সংস্থাতেও অনেক কাজ পাওয়া যাচ্ছে। আমার এক বন্ধু, যে বছর কয়েক আগে জিওলজি নিয়ে পাশ করেছে, সে বলছিল যে এখন ডেটা অ্যানালিস্ট আর মডেলিংয়ের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বেশি। তাই, যারা এই লাইনে আসতে চাইছে, তাদের জন্য নতুন কিছু স্কিল শেখাটা খুব জরুরি। চলুন, এই বিষয়ে আরও নিশ্চিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

ভূ-বিজ্ঞানের চাকরির বাজারে পরিবর্তনের ঢেউ: এখন কোন পথে ভবিষ্যৎ?

keyword - 이미지 1
ভূ-বিজ্ঞানের চাকরির বাজার এখন বেশ গতিশীল। আগে যেখানে শুধু খনন বা তেল উত্তোলনের মতো কাজের চাহিদা ছিল, এখন পরিবেশ বিজ্ঞান, ডেটা অ্যানালিস্ট, আর জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম (GIS) স্পেশালিস্টদেরও প্রচুর দরকার পড়ছে। আমার এক পরিচিত দাদা, যিনি একটি পরিবেশ বিষয়ক সংস্থায় কাজ করেন, তিনি বলছিলেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে কাজ করার জন্য তাদের সংস্থায় এখন নতুন লোক নেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভূমিকম্প বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্যেও দক্ষ লোকের চাহিদা বাড়ছে। তাই বুঝতেই পারছেন, যারা এই লাইনে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের জন্য সুযোগের অভাব নেই।

ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং মডেলিংয়ের চাহিদা বাড়ছে

আগেকার দিনে ভূ-বিজ্ঞান মানে ছিল মাঠঘাটে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করা। কিন্তু এখন সেই ডেটাকে বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের একটা ছবি তৈরি করতে হয়। এর জন্য ডেটা অ্যানালিটিক্স, স্ট্যাটিসটিক্যাল মডেলিং, আর প্রোগ্রামিংয়ের জ্ঞান থাকাটা খুব জরুরি।1.

ভূ-তাত্ত্বিক ডেটা বিশ্লেষণ: বিভিন্ন সিসমিক ডেটা, পাথরের নমুনা, খনিজ পদার্থের তথ্য ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে ভূতাত্ত্বিক গঠন বোঝা এবং খনিজ সম্পদের সম্ভাবনা খুঁজে বের করা।
2.

পরিবেশগত মডেলিং: দূষণ ছড়ানো, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মূল্যায়ন করার জন্য কম্পিউটার মডেল তৈরি করা এবং সেগুলোর বিশ্লেষণ করা।
3.

রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট: জল, খনিজ, এবং শক্তি সম্পদের কার্যকর ব্যবহার এবং ব্যবস্থাপনার জন্য ডেটা-চালিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।

পরিবেশ সুরক্ষায় নতুন দিগন্ত

পরিবেশ এখন একটা বড় ইস্যু, তাই এই সেক্টরেও কাজের সুযোগ বাড়ছে। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, আর পরিবেশবান্ধব টেকনোলজি নিয়ে কাজ করার জন্য অনেক কোম্পানি এখন ভূ-বিজ্ঞানীদের খুঁজছে।* দূষণ নিয়ন্ত্রণ: বিভিন্ন শিল্প এবং শহরের দূষণ মাত্রা পর্যবেক্ষণ করে তা কমানোর উপায় বের করা এবং পরিবেশের ওপর তার প্রভাব মূল্যায়ন করা।
* বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: কঠিন এবং তরল বর্জ্য পরিশোধন এবং পুনর্ব্যবহার করার জন্য নতুন পদ্ধতি তৈরি করা, যাতে পরিবেশের ক্ষতি কম হয়।
* পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি: সৌর, বায়ু, এবং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করা এবং পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন করা।

জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম (GIS)-এর গুরুত্ব

ভূ-বিজ্ঞানের সঙ্গে GIS জুড়ে গেলে কাজের সুযোগ আরও বেড়ে যায়। GIS আসলে একটা কম্পিউটার সিস্টেম, যা দিয়ে পৃথিবীর যেকোনো স্থানের ডেটা সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, এবং ম্যাপ তৈরি করা যায়।

GIS স্পেশালিস্টের কাজ

GIS স্পেশালিস্টরা সাধারণত ম্যাপ তৈরি করেন, ডেটা বিশ্লেষণ করেন, আর বিভিন্ন জিওগ্রাফিক্যাল সমস্যার সমাধান করেন। এই কাজের জন্য তাদের কম্পিউটার স্কিল, ডেটা ম্যানেজমেন্টের জ্ঞান, আর জিওগ্রাফির বেসিক ধারণা থাকতে হয়।* ভূ-স্থানিক ডেটা সংগ্রহ: স্যাটেলাইট ইমেজ, এরিয়াল ফটোগ্রাফ, এবং গ্রাউন্ড সার্ভে থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলোকে জিওগ্রাফিক ডেটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা।
* ভূ-স্থানিক ডেটা বিশ্লেষণ: বিভিন্ন GIS সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভৌগোলিক ডেটা বিশ্লেষণ করা, যেমন – ভূমির ব্যবহার, জনসংখ্যার ঘনত্ব, এবং পরিবেশগত পরিবর্তন ইত্যাদি।
* ম্যাপিং এবং ভিজুয়ালাইজেশন: সংগৃহীত ডেটা এবং বিশ্লেষণের ফলাফল ব্যবহার করে বিভিন্ন থিম্যাটিক ম্যাপ এবং রিপোর্ট তৈরি করা, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে।

GIS এর ব্যবহার

GIS এর ব্যবহার এখন অনেক দিকে ছড়িয়ে গেছে। শহর পরিকল্পনা, কৃষি, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা – সব ক্ষেত্রেই GIS এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।1.

শহর পরিকল্পনা: শহরের কোথায় রাস্তাঘাট হবে, কোথায় বাড়িঘর তৈরি হবে, আর কোথায় পার্ক বা খেলার মাঠ থাকবে, তা GIS এর মাধ্যমে ঠিক করা যায়।
2. কৃষি: কোন জমিতে কোন ফসল ভালো হবে, কোথায় সেচের ব্যবস্থা করতে হবে, আর কোথায় সার দিতে হবে, তা GIS দিয়ে সহজেই বোঝা যায়।
3.

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: ভূমিকম্প, বন্যা, বা ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় কোথায় আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করতে হবে, আর কিভাবে দ্রুত ত্রাণ পৌঁছানো যাবে, তা GIS এর মাধ্যমে পরিকল্পনা করা যায়।

ভূ-বিজ্ঞানে নতুন টেকনোলজির প্রভাব

টেকনোলজি এখন সব কিছু বদলে দিচ্ছে, আর ভূ-বিজ্ঞানও তার বাইরে নয়। ড্রোন, স্যাটেলাইট, আর অত্যাধুনিক সেন্সর ব্যবহার করে এখন অনেক সহজে তথ্য সংগ্রহ করা যাচ্ছে।

রিমোট সেন্সিং এবং স্যাটেলাইট ইমেজারি

রিমোট সেন্সিং টেকনোলজি ব্যবহার করে দূর থেকে পৃথিবীর ছবি তোলা যায়, যা থেকে ভূমির গঠন, растительность, আর অন্যান্য প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা যায়।* ভূমির ব্যবহার পর্যবেক্ষণ: স্যাটেলাইট ইমেজ এবং এরিয়াল ফটোগ্রাফ ব্যবহার করে কিভাবে ভূমি ব্যবহার হচ্ছে, তার পরিবর্তনগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা।
* বনভূমি পর্যবেক্ষণ: বনের ঘনত্ব, বন উজাড়, এবং বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল নিরীক্ষণ করার জন্য রিমোট সেন্সিং ডেটা ব্যবহার করা।
* কৃষি পর্যবেক্ষণ: ফসলের স্বাস্থ্য, মাটির আর্দ্রতা, এবং শস্য উৎপাদনের পরিমাণ অনুমান করার জন্য স্যাটেলাইট ডেটা বিশ্লেষণ করা।

ড্রোন টেকনোলজির ব্যবহার

ড্রোন ব্যবহার করে খুব কম খরচে যেকোনো এলাকার নিখুঁত ছবি তোলা যায়। এই ছবিগুলো ব্যবহার করে ত্রিমাত্রিক মডেল তৈরি করা যায়, যা ভূমিধস বা খনি এলাকার ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে কাজে লাগে।1.

ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ: দুর্গম এলাকায় ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য এবং খনিজ সম্পদের সন্ধান পেতে ড্রোন ব্যবহার করে এরিয়াল সার্ভে করা।
2. পরিবেশগত পর্যবেক্ষণ: দূষণ মাত্রা, বন্যপ্রাণীর গতিবিধি, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব মূল্যায়ন করার জন্য ড্রোন থেকে ডেটা সংগ্রহ করা।
3.

অবকাঠামো পরিদর্শন: বাঁধ, সেতু, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোর ত্রুটি এবং দুর্বলতা খুঁজে বের করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করা।

কাজের ক্ষেত্র প্রয়োজনীয় দক্ষতা সুযোগ
খনন এবং খনিজ সম্পদ ভূতত্ত্ব, খনিজবিদ্যা, জিওফিজিক্স খনিজ অনুসন্ধান, খনন কার্যক্রম, সম্পদ ব্যবস্থাপনা
পরিবেশ বিজ্ঞান পরিবেশগত ভূতত্ত্ব, জলবিদ্যা, পরিবেশ রসায়ন দূষণ নিয়ন্ত্রণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন
জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম (GIS) GIS সফটওয়্যার, ডেটা বিশ্লেষণ, ম্যাপিং শহর পরিকল্পনা, কৃষি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং মডেলিং স্ট্যাটিসটিক্স, প্রোগ্রামিং, ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন ভূতাত্ত্বিক মডেলিং, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্লেষণ, ঝুঁকি মূল্যায়ন
রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট ইমেজারি, এরিয়াল ফটোগ্রাফি, ডেটা প্রসেসিং ভূমির ব্যবহার পর্যবেক্ষণ, বনভূমি নিরীক্ষণ, কৃষি পর্যবেক্ষণ

নিজের স্কিল ডেভেলপ করুন

ভূ-বিজ্ঞানের চাকরির বাজারে টিকে থাকতে হলে শুধু ডিগ্রি থাকলেই চলবে না, কিছু বাড়তি স্কিলও থাকতে হবে।

প্রোগ্রামিং এবং ডেটা অ্যানালাইসিসের জ্ঞান

পাইথন (Python) বা আর (R) এর মতো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানা থাকলে ডেটা অ্যানালাইসিস করা অনেক সহজ হয়ে যায়। এছাড়া, মেশিন লার্নিংয়ের কিছু বেসিক জ্ঞান থাকলে আপনি অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকবেন।* পাইথন (Python): ডেটা বিশ্লেষণ, মডেলিং, এবং অটোমেশনের জন্য বহুল ব্যবহৃত একটি প্রোগ্রামিং ভাষা।
* আর (R): স্ট্যাটিসটিক্যাল কম্পিউটিং এবং গ্রাফিক্স তৈরির জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা একটি প্রোগ্রামিং ভাষা।
* মেশিন লার্নিং: অ্যালগরিদম এবং মডেল তৈরি করার কৌশল, যা ডেটা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিখতে পারে এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে পূর্বাভাস দিতে পারে।

যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ান

শুধু কাজ জানলেই হবে না, সেটা অন্যদের বোঝাতেও জানতে হবে। ভালো কমিউনিকেশন স্কিল থাকলে আপনি টিমকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন এবং নিজের আইডিয়াগুলো সহজে শেয়ার করতে পারবেন।1.

রিপোর্ট রাইটিং: গবেষণা এবং বিশ্লেষণের ফলাফল গুছিয়ে লেখার ক্ষমতা, যা অন্যদের কাছে বোধগম্য হয়।
2. প্রেজেন্টেশন স্কিল: নিজের কাজ এবং আইডিয়া শ্রোতাদের সামনে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার দক্ষতা।
3.

টিমওয়ার্ক: দলের সাথে একসাথে কাজ করার মানসিকতা এবং বিভিন্ন মতামতকে সম্মান করার ক্ষমতা।

ভূ-বিজ্ঞানে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ

এখন অনেকেই চাকরি না খুঁজে নিজের ব্যবসা শুরু করতে চাইছে। ভূ-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও উদ্যোক্তা হওয়ার অনেক সুযোগ আছে।

কন্সালটেন্সি ফার্ম

আপনি যদি ভালো জিওলজিস্ট হন, তাহলে নিজের কন্সালটেন্সি ফার্ম খুলতে পারেন। বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রজেক্টের জন্য আপনার পরামর্শ নিতে আসবে।* ভূ-স্থানিক বিশ্লেষণ সেবা: বিভিন্ন ব্যবসার জন্য ভৌগোলিক ডেটা বিশ্লেষণ এবং মডেলিং সেবা প্রদান করা।
* পরিবেশগত পরামর্শ: পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য পরামর্শ প্রদান করা।
* রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট পরামর্শ: জল, খনিজ, এবং শক্তি সম্পদের কার্যকর ব্যবহারের জন্য পরামর্শ প্রদান করা।

টেকনোলজি স্টার্টআপ

জিওলজি, জিওফিজিক্স, জিওকেমিস্ট্রি ইত্যাদি বিষয়ে ভালো জ্ঞান থাকলে নতুন টেকনোলজি কোম্পানি শুরু করতে পারেন। ড্রোন বা সেন্সর টেকনোলজি ব্যবহার করে নতুন সলিউশন তৈরি করতে পারেন।1.

জিওলজিক্যাল সফটওয়্যার তৈরি: ভূতাত্ত্বিক ডেটা বিশ্লেষণ এবং মডেলিংয়ের জন্য বিশেষায়িত সফটওয়্যার তৈরি করা।
2. ড্রোন-ভিত্তিক জরিপ সেবা: খনিজ অনুসন্ধান, পরিবেশগত পর্যবেক্ষণ, এবং অবকাঠামো পরিদর্শনের জন্য ড্রোন ব্যবহার করে ডেটা সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করা।
3.

সেন্সর টেকনোলজি: পরিবেশগত দূষণ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য নতুন সেন্সর টেকনোলজি তৈরি করা।ভূ-বিজ্ঞানের চাকরির বাজার এখন অনেক সম্ভাবনাময়। যারা নতুন কিছু শিখতে এবং চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত, তাদের জন্য এখানে অনেক সুযোগ অপেক্ষা করছে। শুধু নিজের স্কিল ডেভেলপ করুন আর লেগে থাকুন, সাফল্য আসবেই।

শেষ কথা

ভূ-বিজ্ঞানের জগৎটা বিশাল, আর সুযোগও অনেক। শুধু দরকার একটু চেষ্টা আর নতুন কিছু শেখার আগ্রহ। আশা করি, এই লেখাটা তোমাদের কিছুটা হলেও সাহায্য করবে। ভালো থেকো, আর নিজের স্বপ্নের পিছনে ছুটতে থাকো!

দরকারি কিছু তথ্য

১. ভূ-বিজ্ঞানের চাকরির জন্য ভালো রেজাল্ট যেমন দরকার, তেমনি দরকার ফিল্ড ওয়ার্কের অভিজ্ঞতা।

২. বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপের সুযোগ থাকে, সেগুলো কাজে লাগাতে পারো।

৩. নেটওয়ার্কিং খুব জরুরি, তাই সেমিনার ও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে অন্যদের সাথে যোগাযোগ রাখো।

৪. LinkedIn-এর মতো প্ল্যাটফর্মে নিজের প্রোফাইল আপডেট রাখো, যাতে রিক্রুটাররা সহজে খুঁজে পায়।

৫. নিয়মিত চাকরির ওয়েবসাইটগুলো যেমন Naukri.com, Indeed.com-এ চোখ রাখো।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

ভূ-বিজ্ঞানের চাকরির বাজারে এখন ডেটা অ্যানালিটিক্স, GIS, আর পরিবেশ সুরক্ষার ওপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। তাই এই বিষয়গুলোতে দক্ষতা অর্জন করলে ক্যারিয়ারের সুযোগ বাড়বে। প্রোগ্রামিং, কমিউনিকেশন স্কিল, আর নতুন টেকনোলজি সম্পর্কে জ্ঞান রাখাও খুব দরকারি। নিজের স্কিল ডেভেলপ করে লেগে থাকলে সাফল্য নিশ্চিত।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: জিওলজি পড়ার পর কি ধরণের চাকরির সুযোগ আছে?

উ: জিওলজি পড়ার পর এখন অনেক রকমের চাকরির সুযোগ খুলে গেছে। আগে শুধু তেল বা গ্যাস কোম্পানিতে চাকরির কথা ভাবা হতো, কিন্তু এখন পরিবেশ নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থা, যেমন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা NGO-গুলোতেও কাজের সুযোগ বাড়ছে। এছাড়া, ডেটা অ্যানালিস্ট বা জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম (GIS) স্পেশালিস্ট হিসেবেও কাজ করা যেতে পারে। আমার এক পরিচিত দাদা জিওলজি নিয়ে পড়ার পর এখন একটা পাওয়ার প্ল্যান্টে কাজ করছেন, যেখানে তিনি মাটির গঠন আর পরিবেশের ওপর তার প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন।

প্র: জিওলজিস্ট হওয়ার জন্য কি কি দক্ষতা (skills) থাকা দরকার?

উ: জিওলজিস্ট হওয়ার জন্য কিছু বিশেষ দক্ষতা থাকাটা খুব জরুরি। প্রথমত, বিজ্ঞান আর ভূগোলের বেসিক জ্ঞান তো থাকতেই হবে। তার সাথে দরকার ডেটা অ্যানালাইসিস করার ক্ষমতা, কারণ এখনকার দিনে প্রচুর তথ্য নিয়ে কাজ করতে হয়। কম্পিউটার মডেলিং, GIS সফটওয়্যার, আর প্রোগ্রামিংয়ের জ্ঞান থাকলে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকা যায়। আমার এক ছোট ভাই জিওলজি নিয়ে পড়ছে, সে এখন থেকেই পাইথন (Python) আর আর (R) প্রোগ্রামিং শিখছে, যাতে ভবিষ্যতে ভালো চাকরি পায়। এছাড়াও, ফিল্ডওয়ার্ক করার মানসিকতা আর শারীরিক সক্ষমতাও দরকার, কারণ অনেক সময় দুর্গম এলাকায় গিয়ে কাজ করতে হয়।

প্র: জিওলজি নিয়ে পড়াশোনা করতে গেলে কোন বিষয়গুলোর ওপর বেশি জোর দেওয়া উচিত?

উ: জিওলজি নিয়ে পড়াশোনা করতে গেলে কিছু বিশেষ বিষয়ের ওপর বেশি জোর দেওয়া উচিত। প্রথমত, জলবায়ু পরিবর্তন আর তার প্রভাব সম্পর্কে ভালো করে জানতে হবে, কারণ এখন এটা একটা বড় সমস্যা। দ্বিতীয়ত, পরিবেশ দূষণ আর তার প্রতিকার নিয়েও পড়াশোনা করা দরকার। তৃতীয়ত, ডেটা সায়েন্স আর জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম (GIS) এর ওপর দক্ষতা বাড়াতে হবে, কারণ এই দুটো জিনিস এখন সব কাজের জন্য খুব দরকারি। আমি যখন জিওলজি পড়তাম, তখন স্যাররা সবসময় বলতেন যে শুধু থিওরি পড়লে হবে না, হাতে-কলমে কাজ শিখে আসতে হবে। তাই ফিল্ডওয়ার্ক আর ইন্টার্নশিপের সুযোগগুলো কাজে লাগানো খুব জরুরি।